ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের Official Signature “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা”


Content Writing
Written by  Arindom Singha Biswas 
Chartered Accountancy - Intermediate Student 
B.Com ( Accountancy Honours ) From Vidyasagar University 
Ex- Xaverian ( St.Xavier's School Haldia & St.Xavier's College Kolkata -Diploma )



PREFACE

বিগত দুমাস পূর্বে ,  Zee Bangla Channel  এ জনপ্রিয় ধারাবাহিক করুণাময়ী রানী রাসমণি – ধারাবাহিকের একটি চিত্রনাট্যে এটি উপস্থাপন করা হয়েছিল যে - ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” নামে  উপস্থাপন করছেন ।  

তৎপরিপেক্ষিতে ,  Zee Bangla Facebook Page এ এই বিষয়গত ভিত্তির ওপর নানা বিধ Controversial Debate হয় । অনেকেই তাদের নিজেদের মত Positive  and Negative  দুই দৃষ্টিভঙ্গীতেই  পোষণ করেন । আমিও এই বিষয়ের ওপর তথ্যভিত্তিক Logical Way  তে  আমার এই Content Writing টি Zee Bangla Facebook Page April 2 , 2019  তারিখের Post  উপস্থাপন করেছিলাম । এই লেখাটি Zee Bangla  কর্ত্রীপক্ষ Accept  করাই আমি তাঁদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি ।  সেই Content Writing  লেখাটি , আজ আপনাদের নিকট আমার  Facebook  Page and  Blog  এ তুলে ধরলাম ।

Dear Reader

মনুসংহিতা মতে , বর্ণ ব্যবস্থার প্রকারভেদ অনুসারে নামের সহিত “ উপপদ” ব্যবহার করা একটি প্রচলিত রিতি রয়েছে অর্থাৎ  ব্রাক্ষ্মণ বর্ণের কোন ব্যক্তির নাম “মঙ্গলবাচক” , ক্ষত্রিয় বর্ণের কোন ব্যক্তির নাম “বলবাচক” , বৈশ্য বর্ণের কোন ব্যক্তির নাম “ধনবাচক” , শূদ্রবর্ণের কোন ব্যক্তির নাম  হীনতাবাচক” হিসাবে পরিগণিত হয়ে থাকে । সেই পরিপেক্ষীতে , ব্রাক্ষ্মণ বর্ণের কোন ব্যক্তির নামের সহিত “ শর্মা ” অথবা “দেবশর্মা” এই উপপদ নামক উপাধিটি ব্যবহার করার প্রচলন ছিল । ধরা যাক , কারোর নাম যদি উমাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় হয় তা হলে উমাপদ শর্মা অথবা উমাপদ  দেবশর্মাহিসাবে পরিচিতি প্রাপ্ত করে । অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে মুল শব্দ হল   শর্মণ্ ব্যাকরণের নিয়ানুসারে , প্রথমায় ইহা শর্মা হয়—“শর্মণঃ ষষ্ঠ্যন্ত অর্থাৎ শব্দ ষষ্ঠ্যন্ত হইলে “সম্বন্ধ পদ” হয়। অতএব শর্মণঃ অথবা দেবশর্মণঃ বললে    শর্মা দেবশর্মা বুঝায় পক্ষান্তরে , ক্ষত্রিয় বর্ণের কোন ব্যক্তির নামের সহিত “ বর্মা ” , বৈশ্য বর্ণের কোন ব্যক্তির নামের সহিত “ ভূতি ”,  শূদ্র বর্ণের কোন ব্যক্তির নামের সহিত “ দাস ” “ উপপদ” ব্যবহার করা একটি প্রচলিত রিতি । অনুরূপে , ব্রাহ্মণকন্যারা সকলেই তাদের নামের পর দেবী লিখতে পারেন এবং  শূদ্রকন্যারা সকলেই তাদের নামের পর দাসী হিসাবে পরিচিতি প্রাপ্ত করে । ব্যাকরণের নিয়ানুসারে , দেবী শব্দ ষষ্ঠ্যন্ত হইলে দেব্যাঃএবং দাসী শব্দ ষষ্ঠ্যন্ত হইলে দাস্যাঃ হয় অর্থাৎ , ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং  ব্রাক্ষ্মণ বর্ণের পরিচিতি কল্পে নিজের নামের সহিত শর্মা নামক “ উপপদ” ব্যবহার করতেন এবং  নিজ নামে কোন স্বাক্ষর বা সহি  করার ক্ষেত্রেও “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” হিসাবে উপস্থাপনা করতেন । যে কোন পাঠ্যপুস্তক যদি ভালো করে অনুধাবন করলে  দেখা যাবে , সেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের  স্বয়ং  স্বাক্ষর বা সহি  করার ক্ষেত্রে “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন ।

যে কোন পাঠ্যপুস্তকে রচনা  বা  Biography তে অথবা ইতিহাসের বইগুলোতে  ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – এই নাম হিসাবে রচনা বা Biography কথাটা বা ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো পাওয়া যাবে , “  কিন্তু মূল বিষয় হল তাঁর নিজ রচিত  গ্রন্থ গুলিতে অর্থাৎ  বর্ণপরিচয় , কথামালা ,বোধদয় , ব্যাকরণ কৌমুদী , ভ্রান্তিবিলাস ( অনুবাদ সাহিত্য ) ...... ইত্যাদি গ্রন্থগুলিতে যেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং  স্বাক্ষর বা সহি করেছেন কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়া সত্তে ও  ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন  যদি আপনারা উইকিপিডিয়া Follow করেন সেখানেও এই কথাটা পাবেন ।  আমরা ছেলেবেলায় , শিশু সাহিত্য সংসদ সম্পাদিত “আমরা বাঙালী” নামক গ্রন্থ অধ্যায়ন করেছিলাম তাতে বিভিন্ন মহাপুরুষদের Biography Autograph রয়েছে যেখানে তার মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী এবং উনার স্বাক্ষর বা সহি হিসাবে “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” হিসাবে উপস্থাপিত রয়েছেঅর্থাৎ কেবলমাত্র ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের Official Signature ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” হিসাবে পরিগণিত হয়েছে ।

আবার , ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য “পণ্ডিত”  হিসাবে উপাধিটি অর্পণ করা হয় আবার উপাধি হিসাবে “ বিদ্যাসাগর ” এবং  “ দয়ারসাগর” হিসাবে পরিচিতি প্রাপ্ত করেন । 

 বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হল , উপাধি এবং ছদ্মনাম  কিন্তু এক জিনিস নহে  । অনেকেই এই দুটি শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করেন । উপাধি হল “খেতাব বা উপনাম ”  যাহা অন্য কারোর দ্বারা প্রাপ্ত হয় । অপরদিকে , ছদ্মনাম হল “অপ্রকাশিত নামা ব্যক্তি” অর্থাৎ নিজেকে অগোচরে রেখে যিনি অন্য নামে পরিচিতি লাভ করেন ছদ্মনাম সাধারণত কোন ব্যক্তি স্বয়ং  নিজেই রাখতে পারেন ।

একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে , শর্মা ” কথাটা কিন্তু কোন পদবী বা Surname  বা কোন প্রকার ছদ্মনাম নহে । যে কোন ব্রাক্ষ্মণ বর্ণের কোন ব্যক্তির নামের সহিত “ শর্মা ” নামক এই “উপপদ” ব্যবহার করতে পারতেন ।  অর্থাৎ , ইহাকে “উপপদ” নামক উপাধি ও বলা যায় ।  একটি উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ,  যারা “শাস্ত্র” বিষয়ক অধ্যায়ন পূর্বক “শাস্ত্রী” নামক উপাধি অর্জন করেন এবং  নিজের নামের সহিত  “শাস্ত্রী” কথাটা লেখার অধিকার প্রাপ্ত করেন ( অর্থাৎ  যিনি “শাস্ত্র” বিষয়ক অধ্যায়ন পূর্বক শাস্ত্রজ্ঞ হইয়া “শাস্ত্রী” নামক উপাধি অর্জন করেছেন ) তাকেই “শাস্ত্রী” বলে । এটি ও কিন্তু কোন প্রকার পদবী বা Surname  বা কোন প্রকার ছদ্মনাম নহে – ঠিক সেইরূপ “ শর্মা ” কথাটা এক প্রকার “উপপদ” নামক উপাধি মাত্র ।











Comments

  1. সঠিক টা জানতে পারলাম।ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  2. সঠিক তথ্য উত্থাপন করা জন্য ব্যাপারটা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
  3. Asadharon...darun laglo pore...r onk kichu janlam..thnx a lot

    ReplyDelete
  4. খুব সুন্দর উপস্থাপন

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

Direct Tax - Rates of Taxation

Content Writing - Indian Mythology ( Vishnu Puran )