Content Writing - Indian Mythology ( Vishnu Puran )



হোলিকা দহন ( পৌরাণিক কাহিনী বিষ্ণু পুরাণ )
রাজা হিরণ্যকশিপু ছিলেন  ব্রক্ষ্মার উপাসক । রাজা  হিরণ্যকশিপুর  তপস্যাতে সন্তুষ্ট হয়ে ব্রক্ষ্মা বর দেন যে - রাজা হিরণ্যকশিপুকে কোন মানুষ অথবা কোন পশু , দিনে অথবা রাতে , ভূমিতে অথবা আকাশে কেঊ বধ করতে পারবে না । তাই ব্রক্ষ্মার বরে বলশালী হয়ে রাজা হিরণ্যকশিপু ভুলেই গিয়েছিলেন ধর্মের কথা ... । তাই অধর্মের পথেই নিজেকে সর্ব শক্তিমান হিসাবে জাহির করতে লাগলেন । রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রল্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক । তাই রাজা হিরণ্যকশিপু তার নিজের পুত্রকে বিষ্ণুর উপাসনা থেকে বিরত রাখার জন্য নানা পরিকল্পনা করতে লাগলেন । কখনো পুত্র প্রল্লাদ কে কারাগারে বন্ধী করলেন , আবার কখনো উঁচু পাহাড় থেকে পুত্র  প্রল্লাদকে নিক্ষেপ করলেন , আবার কখনো  বিষধর সর্পদের মাঝে নিক্ষেপ করলেন যাতে তার পুত্র  প্রল্লাদকে বিষধর সর্প দংশন করে , আবার কখনো হাতির পায়ের নিচে নিক্ষেপ করলেন যাতে তার পুত্র  প্রল্লাদকে হাতি তার পদপিষ্ট করে হত্যা করতে পারে । কিন্তু রাজা হিরণ্যকশিপুর সমস্ত চেষ্টাই বিফলে যায় , কেননা পুত্র প্রল্লাদ ভগবান বিষ্ণুর কৃপাই সব বিপদ থেকেই রক্ষা পাই । এই দেখে , রাজা হিরণ্যকশিপুর ভগ্নী হোলিকা পরামর্শ দিলেন যে ,  প্রল্লাদকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করা হোক , আর হোলিকা নিজে পরীক্ষা করতে চাইলেন যে ভগবান বিষ্ণু তাকে কি ভাবে রক্ষা করবেন যদি হোলিকা স্বয়ং  প্রল্লাদের সহিত অগ্নিতে নিজেকেও সমর্পণ করেন । তাই হোলিকা এবং  প্রল্লাদ দুজনেই অগ্নিতে নিজেদের সমর্পণ করলেন । কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল , পুত্র  প্রল্লাদ ভগবান বিষ্ণুর কৃপাই আবার বিপদ থেকেই রক্ষা পেল , অগ্নি তাঁকে দহন করতে পারল না কিন্তু হিরণ্যকশিপুর ভগ্নী হোলিকা কে অগ্নি সম্পূর্ণ দহন করে ও হোলিকার মৃত্যু হয় ।


এই দেখে রাজা হিরণ্যকশিপু ক্রোধে অহংকারে জ্বলে ওঠেন , পুত্র  প্রল্লাদের কাছে  জানতে চান ভগবান বিষ্ণু কোথায় আছেন ? পুত্র প্রল্লাদ জানাই ভগবান বিষ্ণু সর্বত্র রয়েছেন । রাজা হিরণ্যকশিপু ক্রোধপূর্বক প্রশ্ন করেন পুত্র  প্রল্লাদকে ... ভগবান বিষ্ণু  কি এই রাজমহলেই রয়েছেন প্রতিটি ইমারত –স্তম্ভের মধ্যে  ? পুত্র প্রল্লাদ জানাই , রাজমহলের সর্বত্র এই বিশ্বসংসারে সর্বত্র ভগবান বিষ্ণু রয়েছেন । এরপর , গোধূলি লগ্নে অর্থাৎ দিন রাতের মাঝখানের মুহূর্তে , ভগবান বিষ্ণু ( নরসিংহ অবতার রূপে অর্থাৎ অর্ধ মানব ও অর্ধ সিংহ ) রাজমহলের স্তম্ভ ভেঙ্গে আবির্ভাব হলেন । রাজা হিরণ্যকশিপুকে নরসিংহ অবতার রূপে আকাশ ও ধরিত্রীর মাঝখানে অর্থাৎ নিজের কোলে শায়িত অবস্থায়  রাজা  হিরণ্যকশিপুর পেট ধারালো নখ দিয়ে বিদীর্ণ করে অধর্মের নাশ করলেন ।

Note - আমরা যে হোলির আগের দিনন্যাড়া পুড়া বাবুড়িমা পুড়া করি সেটাই হল আসলেহোলিকা দহন আর হোলিকা অস্থিভস্ম হল পবিত্র ভস্ম যাহা বর্তমানে আবীর হিসাবে প্রতীকীমাত্র ।  ( পৌরাণিক মতে )

Arindom  Singha  Biswas
Ex - Xaverian  - St. Xavier’s  School  Haldia   &  St. Xavier’s  College  Kolkata  ( Diploma -  DCAFD )
B. Com ( Accountancy  Honours ) From  Vidyasagar  University
Chartered Accountancy Student   
Hobby Cum Profession - Indian Traditional Astrology

Comments

Popular posts from this blog

ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের Official Signature “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা”

Direct Tax - Rates of Taxation